বন্ধুকে ছুরির আঘাতে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
নিজের বন্ধুকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগের কারনে গতকাল পটুয়াখালী থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ র্যাব বাহিনী।আজ শনিবার দুপুরে স্থানীয় র্যাব ক্যাম্পে একটি সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব-৮ পটুয়াখালীর কোম্পানি কমান্ডার জনাব শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে জানা গেছে।
ঢাকা তুরাগ এর বৃন্দাবন এলাকার বস্তিতে গত ৪ই জানুয়ারি সন্ধ্যায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল।সংবাদ সম্মেলনে র্যাব এই তথ্য জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম হল মোঃ ইমাম হোসেন। তিনি কুমিল্লার ময়নামতির মুরাদনগর এলাকার বাসিন্দা।গতকাল রাতের বরগুনা আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ গাজিপুর এলাকা থেকে খুনি ইমামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমাম বলেন যে, তিনি তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে বৃন্দাবন এলাকার বস্তিতে থাকতেন অনেকদিন ধরে। ইমামের বন্ধু মোঃ রাসেল আহমেদও সেই বস্তিতে বসবাস করত।বন্ধুত্বের সূত্র ধরে ইমামের বাসায় যাতায়াত ছিল মৃত রাসেলের।গত ৪ই জানুয়ারি সন্ধ্যায় ইমাম ঘরে ঢুকে রাসেলের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়েছিলেন।এরপর দুই বন্ধুর মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে রাসেলের সঙ্গে ইমামের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। এ সময় হাতের কাছ পাওয়া একটি ছুরি দিয়ে রাসেলের পিঠে উপর্যুপরি আঘাত করেছিলেন তিনি।এই সময় তাঁর স্ত্রী রাসেলকে বাঁচাতে এলে তাঁকেও আঘাত করেন খুনি ইমাম।তাঁরা আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সেখান থেকে বেরিয়ে যায় খুনি ইমাম।
র্যাব জানায় যে, এরপর ইমাম তাঁর শ্বশুরকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানিয়েছিলেন।পরে তাঁর শ্বশুর রাসেল ও তাঁর মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন।সেখানকার কর্মরত চিকিৎসক রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন।রাসেল মারা যাওয়ার পরদিন তাঁর বাবা সোহরাব হাওলাদার বাদী হয়ে তুরাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।ঐ মামলায় শুধু ইমামকে আসামি করা হয়।ইমামের স্ত্রী এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয় যে, ইমাম ঘটনার পর বাসে করে বরগুনা চলে যান।পরে র্যাবের সদস্যরা তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে ইমামের অবস্থান নিশ্চিত করে তাঁকে ধরতে অভিযান চালায়।